বিলাঞ্চলে বোরো ধানের আবাদ
এস.কে সাত্তার: গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলের শুকিয়ে ও ভরাট হয়ে যাওয়া বিলাঞ্চলে এখন চলছে বোরো ধান চাষাবাদ। বিশেষ করে সীমান্তঞ্চলীয় উপজেলা ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীর বিলগুলোতে বালু, পলি আর দখলে ক্রমেই ভরাট হয়ে গেছে বিলের তলদেশ। বিলের বুকে জেগে উঠছে চর। স্থানীয় কৃষকরা সেই জেগে উঠা জমি দখলে নিয়ে আবাদ করছেন সোনালী ধানসহ বিভিন্ন জাতের ফসল। অনেকেই আবার জেগে উঠা বিলে উন্নত জাতের বোরো ধানের আবাদ করেও লাভবান হচ্ছেন।
জানা গেছে, বিল শুকিয়ে যাওয়া ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও নিচে নেমে গেছে। বিলগুলো সরকারি উদ্যোগে খনন করে অস্তিত্বহীন বিলের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন অভিজ্ঞমহল। তবে ইতোমধ্যে বিলে বিপুল পরিমাণ সরকারি জমি ভূমি দস্যুরা জাল দলীল ও কাগজপত্র তৈরী করে বেদখলে নিয়ে চাষাবাদ করে যাচ্ছে বলে জানা যায়। এতে সরকারি অনেক বিলের অস্তিত্ব ধ্বংস করে আবাদী জমি বানিয়ে নিরবিঘ্নে চাষাবাদ করে যাচ্ছে।
জানা গেছে, সংশ্লিষ্টি ভূমি অফিসের এক শ্রেনীর দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগশাজসে মোটা অঙ্কের নগদ টাকার বিনিময়ে খাজনা খারিজেরও ব্যবস্থা করা হয়ে গেছে। এভাবেই ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদীও নালিতাবাড়ী উপজেলার অনেক বিল এখন পরিণত হয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমিতে। এসব বিলগুলোতে ড্রেজিং করে দ্রুত সরকারি দখলে নেয়া প্রয়োজন বলে এলাকার বিবেকসম্পন্ন চিন্তাশীল মহল মনে করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভরাট হওয়ায় সরকারি বিলগুলো যেমন বেদখল হয়ে গেছে তেমনই বিলগুলোর অস্তিত্বই এখন বিলীন হওয়ার পথে। ফলে বিলসমূহ এখন বোরো ধান, গম, ভুট্টাসহ নানা ধরনের ফসলের চাষাবাদ করছেন বিলের দুই পাড়ের কৃষক তথা কোনো কোনো ভূমিদস্যুরা। বিলগুলো উদ্ধারে জরুরি ভিত্তিত্বে সরকারের উদ্ধার কর্যক্রম ও জাল কাগজপত্র তৈরি করা ভূমিদস্যুদের আইনের আওয়ায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল দৈনিক সকালের চেতনাকে জানান, এব্যাপরে অভিযোগ পেলে অব্যশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।