শেরপুরে আকস্মিক বন্যা, পানিবন্দি ২ উপজেলাবাসী

অপরিকল্পনা বর্ষণ ও উজান থেকে প্রবাহিত ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২৫ সেন্টিমিটার এবং ভোগাই নদীর পানি ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শুক্রবার, সদর উপজেলায় ১৭৭, নালিতাবাড়ীতে ২৫৫ এবং নাকুগাঁওয়ে ২৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর পানি দুকূল উপচে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে, উপজেলার সদর বাজারসহ ৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় পৌরসভাসহ ৩টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলও আক্রান্ত হয়েছে। এলাকা ধরে অধিকাংশ রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ তলিয়ে যাওয়ার ফলে, বহু মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. অশরাফুল আলম রাসেল জানিয়েছেন, ৭০০ থেকে ৮০০ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে এবং বন্যার্তদের জন্য শুকনো খাবার প্রস্তুত করা হচ্ছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, পোড়াগাঁও, রামচন্দ্রকুড়া ও নয়াবিল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মধ্যে কোমর ও গলা পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। বন্যার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।